The news is by your side.

আন্দোলন করতে চায় করুক, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী

0 110

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে… কেউ আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করলে আমরা সহ্য করব না। আন্দোলন-সংগ্রাম করুক, তাতে আপত্তি নাই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।’

জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির অপকর্মের কারণে জরুরি অবস্থা এসেছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন ২০০৯-এ সরকার গঠন করি, তখন আমাদের রিজার্ভ কত ছিল? ১ বিলিয়নও ছিল না। বোধ হয় শূন্য দশমিক ৭৪ এ রকম ছিল। আমাদের আর্থিক সংগতি তেমন ছিল না। তার ওপর চরম বিশৃঙ্খলা ছিল। বিএনপির ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বোমা, গ্রেনেড হামলা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং—এসব অপকর্ম, যার ফলে দেশে ইমার্জেন্সি হয়। ২০০৭-০৮ ইমার্জেন্সি। এই অবস্থার মধ্যে দেশের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে এবং একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। সেই সবগুলো গুছিয়ে আনতে সময় নেয়।’

‘আজকের আমাদের অর্থনীতি; যদিও মুদ্রাস্ফীতির চাপ আছে, তারপরও কিন্তু গতিশীল রাখতে পেরেছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব বড় কথা না। আমি মনে করি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সেটাই করে যাচ্ছি। সব ধরনের সেবা কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করছি। কেউ ভালো কাজ করলে পুরস্কার দেওয়া, বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের ট্রেনিং করিয়ে নিয়ে আসা, এগুলো জাতির পিতা শুরু করেছেন। আমরা সেটা অব্যাহত রেখেছি।

সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের করা কমিউনিটি ক্লিনিক বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ, মানুষ এখান থেকে সেবা নিয়ে নাকি আমাকে ভোট দেবে। মানুষের কথা তারা চিন্তা করেনি। তাদের চিন্তা ছিল ভোটের। এটার ফলও পেয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছে তারা।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু আন্দোলন সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে…যারা আন্দোলন করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনই মেনে নেওয়া যাবে না। আন্দোলন-সংগ্রাম যাই করুক তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দিবো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি। তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনও কেটে যায়নি। কিন্তু সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সে জন্য মুখ গোমরা করে থাকা আমি দেখতে চাই না। সবাইকে হাসি-খুশি দেখতে চাই। যেটুকু মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, সেটা অতিক্রম করার জন্য মনোবল ও শক্তি দরকার হয়। সেই শক্তি নিয়ে চললে বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে যাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.