The news is by your side.

আপনি বড় চাঁদাবাজ – শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করে নানক

0 784

 

 

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির শূন্য থাকা পদগুলোয় মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে আগামীকাল। কমিটি গঠনের পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এদিকে গতকাল প্রথম বৈঠকে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নতুন দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গত রাতে প্রেসিডিয়ামের সভা শেষে গণভবনের মূল ফটকের সামনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দলীয় সভানেত্রীকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। তবে বাদবাকি কমিটিতে কারা আসছেন এ বিষয়ে সরাসরি কিছুই বলেননি তিনি। জানতে চাইলে বলেন, কিছু নতুন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার সম্ভাবনা আছে। আংশিক কমিটি থেকে বাদ পড়া মন্ত্রীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হচ্ছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রীদের কমিটিতে রাখা না রাখা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে সবাই এ বিষয়টির সিদ্ধান্তের জন্য নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা আজ (বুধবার) জানাবেন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেব। এদিকে সভায় উপস্থিত কয়েকজন জানান, বাকি কমিটিতে মন্ত্রীদের জায়গা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা জানান, সভার শুরুতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডিয়ামের একাধিক সদস্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতেও চান। কিন্তু সভানেত্রী এ বিষয়ে সরাসরি কিছুই বলেননি। তবে নেত্রীর আচরণ দেখে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা অনুমান করছেন মন্ত্রীদের নতুন কমিটিতে থাকার সম্ভাবনা কম। বৈঠকসূত্র জানান, সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে অভিনন্দন জানান নেতারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলের প্রেসিডিয়ামে নতুন আসা তিন নেতা শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে তাঁদের কী কারণে প্রেসিডিয়ামে আনা হয়েছে, তাঁদের রাজনৈতিক অতীত বর্ণনা করতে বলেন। এ সময় প্রায় ৪০ মিনিট বক্তৃতা করেন নানক। স্কুল ছাত্রলীগের শুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আন্দোলন সংগ্রামের কথা বলেন। একইভাবে বর্ণনা করেন আবদুর রহমান। শাজাহান খানও কিছু কথা বলেন। এরপর কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কমিটিতে সাবেক শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে রাখার বিষয়ে মতামত চাওয়া হলে শাজাহান খান বলেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজ লোক। তাঁকে না রাখাই ভালো। এ সময় শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান কোথায় চাঁদাবাজি করলেন? তিনি যদি চাঁদাবাজ হন, তাহলে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সবাই চাঁদাবাজ। আপনি বড় চাঁদাবাজ। আপনি পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরপর দুজনকেই প্রধানমন্ত্রী থামিয়ে দেন। ড. আবদুর রাজ্জাক একজনের নাম কমিটিতে রাখতে দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন। বলেন, এসব তদবির নিয়ে আসবেন না। রাতে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও জানান, সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সদস্য কারা হতে পারেন এ বিষয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের কাছে প্রস্তাব চান। পরে বৈঠকে উপস্থিত সবাই এর ভার দলীয় সভানেত্রীর ওপর ছেড়ে দেন। তিনি এ বিষয়ে চূড়ান্ত করার পর দলের পক্ষ থেকে কাল জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.