The news is by your side.

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি ১০ আগস্ট

0 223

 

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য (রিভিউ) আনা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় রিভিউর আবেদন ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর দাখিল করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষের ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বেঞ্চ। এর আগে, ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে এমিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। আদালত আপিল শুনানিতে ১০ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন। বিশিষ্ট এই ১০ আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে তাদের মতামত দেন।

বিশিষ্ট আইনজীবীরা হলেন ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সাবেক এটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক এটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল ও এ জে মোহাম্মদ আলী এবং ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে প্রমাণিত অসদাচরণ ও অসামর্থের কারণে সংসদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণের বিধান রাখা হয়। এ সংশোধনীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৯ জন আইনজীবীর রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.