শেষের দিকে আফগানিস্তানকে বেশ চেপে ধরলো বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট তুলে নিলো। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে ২৫৬ তোলা ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ঠিকই বড় সংগ্রহ গড়ে ফেলেছে আফগানরা। ৯ উইকেটে তুলেছে ৩৩১ রান। জিততে হলে তাই রেকর্ড গড়তে হবে লিটন-সাকিবদের।
চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই টস জেতার পর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেননি অধিনায়ক লিটন দাস। বরং, আফগানিস্তানকে বেকায়দায় ফেলতে বল হাতে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
কিন্তু আফগানদের বেকায়দায় ফেলা দূরে থাক। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানকেই আউট করতে রীতিমত ঘাম ঝরেছে টাইগারদের। শুধু জুটি গড়াই নয়, মারমুখী ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার।
একপ্রান্তে উইকেট ধরে রেখেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। অন্য প্রান্তে ব্যাট তুলে খেলতে থাকেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তারা প্রথমে দেশের সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড ভাঙেন। এরপর ভাঙেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১৮ রানের জুটির রেকর্ড। এর মধ্যে গুরবাজ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ফেরেন ১২৫ বলে ১৪৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। মাত্র ২০ ওয়ানডে খেলে চতুর্থ সেঞ্চুরির এই ইনিংস তিনি সাজান ১৩টি চার ও আটটি ছক্কার শটে।
এরপর দ্রুত উইকেট তুলে নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। তাতে আটকানো যায়নি আফগানদের রান। ওপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ইব্রাহিম জাদরান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৯ বল খেলে নয়টি চার ও এক ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করে আউট হন এই ২১ বছর বয়সী ব্যাটার। মাত্র ১৩ ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ পান। শেষ দিতে মোহাম্মদ নবী ১৫ বলে ২৫ রান যোগ করেন। অন্য ব্যাটাররা ১০ রান পেরোতে পারেননি।
দুই আফগান ওপেনারের কাছে শুরুতে মার খাওয়া বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার সাকিব আল হাসানের। তিনি ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। অন্য স্পিনার মেহেদি মিরাজ ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া পেসার মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নিলেও ১০ ওভারে যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ রান খরচ করেন। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে পেসার এবাদত ৯.২ ওভারে ৬১ রানে নেন একটি উইকেট।