ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বুধবার যখন যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা, ঠিক সেই সময় স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কুরআন শরিফ পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছে সুইডেনের পুলিশ।
সমালোচনার ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বে।
সুইডিশ পুলিশ তাদের লিখিত সিদ্ধান্তে বলেছে, কুরআন পোড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি ছিল না, যা ‘বর্তমান আইন অনুসারে অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিতে পারে’।
এর আগে অন্তত দু’বার কুরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল সুইডিশ পুলিশ। সেই সময় এ ধরনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছিল তারা। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশটির একটি আদালত পুলিশের সেই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে রায় দিয়েছেন। এরপরেই বিতর্কিত এই বিক্ষোভের অনুমতি দেয় পুলিশ।
গত জানুয়ারি মাসে সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কুরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে উগ্র ডানপন্থিরা। এর নিন্দায় তখন সরব হয় গোটা মুসলিম বিশ্ব। প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশসহ প্রায় সব মুসলিম দেশ।
ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদানের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় তুরস্ক। যে কারণে আজও ইউরোপীয় দেশটি পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হতে পারেনি।
এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে পরপর দু’বার কুরআন পোড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুইডিশ পুলিশ। এর মধ্যে ছিল স্টকহোমের তুর্কি দূতাবাস ও ইরাকি দূতাবাসের বাইরে কুরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার আবেদন।
তবে চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সুইডেনের আপিল আদালত রায় দেন, এসব বিক্ষোভের অনুমতি না দেওয়া পুলিশের ‘ভুল’ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঈদের ছুটির প্রথমদিন বিতর্কিত আবেদনে সায় দেয় পুলিশ।