ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ায় যোগাযোগের একমাত্র সংযোগ সেতুতে ২০২২ সালের অক্টোবরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রথম থেকেই এ ঘটনায় ইউক্রেন জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। হামলার সাত মাস পর শনিবার এই ঘটনার সঙ্গে কিয়েভ জড়িত বলে স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
কার্চ সেতুটি রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সেতু দিয়েই ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড খেরসনসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক রসদ আনতো রুশ বাহিনী।
এই অভিযোগ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের। সেতুতে বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনীয় বাহিনী জড়িত নয় বলে এতদিন দাবি করে আসছিল জেলেনস্কির প্রশাসন।
কিন্তু শনিবার ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) প্রধান ভ্যাসিল মাল্যুক বলেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক সরবরাহের পথ। যা শত্রুদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছিল। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল।
তবে সেদিন কীভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেননি ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
২০২২ সালের ৮ অক্টোবর সেতুটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কিছু অংশ ধসে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর রেলপথের অংশটিও। নিহত হয় অন্তত তিনজন। ক্রিমিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রাশিয়াকে যুক্ত করা একমাত্র এই সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে মস্কোর জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হয়।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়ার দখল নেয় রাশিয়া। চার বছরের মাথায় ২০১৮ সালে বহুল প্রতিক্ষীত এই ক্রিমিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।