আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রণয়ন করা হয়নি। এ আইনের অপব্যবহার রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ ভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, তবে অনলাইনে নারীদের হয়রানি কারিদের ডিজিটাল স্পেস ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার। এজন্য ডিএসএ দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রফেসর ড. কাবেরী গায়েনসহ অনেকে।