২৬ মার্চ, ধাকড় রাম নামে রাজস্থানের যোজপুরের লুনির বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয় সালমান খানকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ফোন কলের মাধ্যমে ভাইজানকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে মামলা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত তার হুমকি মেইলে উল্লেখ করেন যে, সালমান খানের পরিণামও ‘সিধু মুসেওয়ালা’র মতো হবে।
১০ এপ্রিল মুম্বাই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হুমকি ফোন আসে। যে ফোন করে তিনি নিজের পরিচয় দেন, রকি ভাই নামে। বাসস্থান জানান, রাজস্থানের যোধপুর। তিনি নিজের পরিচয় দেন ‘গোরক্ষক’ হিসেবে। তিনি সলমন খানকে ৩০ এপ্রিল ‘সরিয়ে দেবেন’ বলে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
মুখ খুললেন বলিউডের ভাইজান। সম্প্রতি একটি শোয়ে এসে বলিউডের ভাইজান বলেন,‘আমার পক্ষে এখন রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে একা কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। তার চেয়েও বড় কথা, এখন আমার এই সমস্যা হচ্ছে যে, আমি যখন ট্রাফিকের মধ্যে থাকি, তখন সেখানে এত নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করা সম্ভব নয়। আমার নিরাপত্তা অন্যদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। ফলে আমাকে খুব সাবধানে থাকতে হবে, খুব সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় দুবাইয়ে আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভারতের মধ্যে কিছু সমম্যা আছে। দুবাইয়ে আমি নিশ্চিন্তে যেখানে-সেখানে ঘুরতে পারি। ইদানীং আমার সঙ্গে এত বন্দুক ঘোরে যে আমারই মাঝে মধ্যে ভয় লাগে।’
একের পর এক হুমকি পাওয়ার পর সলমন খানের জন্য ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে মুম্বাই পুলিশ। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের থেকে হুমকির চিঠি পাওয়ার পর মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল অভিনেতার জন্য।