স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ক্রমাগত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এবার ভাইজানের পাশাপাশি তাদের নিশানায় বলিউড তারকা রাখী সাওয়ান্ত। সম্প্রতি তাঁকেও প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল।
শুক্রবার ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে সালমানের বহু প্রতিক্ষিত ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। আর ঠিক তার আগেই আবার হত্যার হুমকি দেওয়া হলো ভাইজানকে। সালমান ও রাখীর বিশেষ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নেই। রাখী এই বলিউড সুপারস্টারকে নিজের ভাই হিসেবে দেখেন। আর সালমানও এই সম্পর্ককে সব দিক থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। রাখীর সব কঠিন সময়ে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে সালমানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পর রাখী মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে লরেন্সের কাছে ক্ষমা চেয়ে এক ভিডিও করেছিলেন। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল ভাইবোনের এই বিশেষ ভালোবাসার সম্পর্ক বোধহয় মেনে নিতে পারছে না। আর তাই সালমানের পর রাখীকে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল থেকে রাখীকে একটা নয়, দুটো হুমকিভরা ই–মেইল দেওয়া হয়েছে। এই ই–মেইলে রাখীকে সালমানের থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল এই ই–মেইলে আরও হুমকি দিয়েছে যে মুম্বাইয়ে সালমান খানকে কড়া নিরাপত্তা দেওয়ার পরও এই বলিউড তারকাকে তারা মেরে ফেলবে।
রাখী ই–টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে এই হুমকিভরা ই–মেইলের ব্যাপারে খোলাসা করেছেন।
রাখী বলেছেন, ‘তারা (লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং) বলেছে যে আমি যদি সালমান খানের বিষয়ে কথা বলি তো তারা আমায় মেরে ফেলবে। কিন্তু সালমান খানকে নিয়ে আমি কথা বলব। কারণ, আমার মা যখন অসুস্থ ছিল, তখন তিনি আমার মাকে সাহায্য করেছিলেন। ক্যানসার থেকে আমার মাকে বাঁচানোর জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন। আমি কেন তাঁর ব্যাপারে কথা বলব না? তারা (লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং) সিধু মুসেওয়ালাকে প্রাণে মেরে ফেলেছে। মানুষ যখন জীবিত থাকেন, তখন আমাদের তাঁর পক্ষে দাঁড়ানো কি উচিত নয়?’
রাখী জানিয়েছেন, এই হুমকিভরা ই–মেইলের জন্য তিনি কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো অ্যাকশন নিচ্ছি না। আমি ভয়ে পেয়েছি, রীতিমতো বিভ্রান্ত। আমি বুঝে উঠতে পারছি না যে কী করা উচিত। আমি ওপরওয়ালার ওপর সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি।’
রাখীকে প্রিন্স মাফি নামের এক ব্যক্তি দুটি ই–মেইল পাঠিয়েছে। এই ব্যক্তি নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের আর গোল্ডি বরাড়ের সম্প্রদায়ের বলে দাবি করেছেন।