নিজের ‘ভুলেই’ বলিউড থেকে হারিয়ে গেলেন আয়েশা তাকিয়া!
‘আকর্ষণীয়’ চেহারার কারণে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসত, প্রস্তাব আসত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের
১৩ বছর বয়সে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে বিনোদন জগতে পা রেখেছিলেন আয়েশা তাকিয়া। তখন থেকেই তাঁর নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন শুরু। এর পর আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপন এবং মিউজ়িক ভিডিয়োতে মুখ দেখানোর পর ১৮ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন তিনি। কিন্তু মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে ইন্ডাস্ট্রি থেকে উধাও হয়ে যান।
আয়েশার বলিউড সফর শেষ হওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে বলে বলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায়।
২০০৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রেমিক ফারহান আজমিকে বিয়ে করেন আয়েশা। অনেকে মনে করেন, তাড়াতাড়ি বিয়ে করার পর বলিউড থেকে মন উঠে যায় আয়েশার। স্বামী-সংসারের দিকেই তিনি বেশি মন দিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁর কেরিয়ার ডুবে যায়।
আবার অনেকের মতে আয়েশার স্বামী ফারহানের পরিবার খুবই রক্ষণশীল। সেই কারণেই, আয়েশার অভিনয় করা নিয়ে আপত্তি ছিল ফারহানের পরিবারে। তাই গৃহশান্তির জন্য তিনি নিজেই অভিনয় করা বন্ধ করে দেন।
তবে যে কারণকে আয়েশার বলিউড থেকে হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসাবে ধরা হয়, তার নেপথ্যে নাকি ছিল অভিনেত্রীরই একটি ‘ভুল’।
ছোট থেকেই আয়েশার শারীরিক গঠন পরিণত। আর সেই কারণেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে তাঁর বলিউডে প্রবেশ। অনেক পরিচালক শুধু তাঁর ‘আকর্ষণীয়’ চেহারার কারণেই তাঁকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাব আসত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়েরও।
তবে বলিউডে পা রেখেই নাকি আয়েশা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, কোনও রকম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না। পরবেন না খুব ছোট পোশাকও।
এমনও শোনা যায় যে, শেষের দিকে নাকি পরিচালক এবং প্রযোজকদের দিয়ে চুক্তি সই করাতেও শুরু করেছিলেন আয়েশা। এই চুক্তিতে লেখা থাকত, শুটিং চলাকালীন তাঁকে যেন কোনও ভাবেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে জোর না দেওয়া হয়।
আয়েশার এই স্বভাবের জন্য বিরক্ত হতে শুরু করেন প্রযোজক-পরিচালকেরা। অনেকে নাকি তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন।
এর পর ধীরে ধীরে আয়েশার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার সিদ্ধান্তের ‘ভুলেই’ তাঁকে বলিউড থেকে হারিয়ে যেতে হয় বলে বলিপাড়ায় চাউর হয়ে যায়।
২০১১ সালে শেষ বারের মতো সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আয়েশা। সিনেমাজগৎ থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরে কয়েকটি টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো-তে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তিনি নজর কাড়তে পারেননি।
কাজ থেকে দূরে থাকলেও আয়েশা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। কয়েক বছর আগে চাউর হয়েছিল যে, তিনি ঠোঁটে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। কিন্তু সেই দাবিকে জল্পনা বলে উড়িয়ে দেন আয়েশা।
পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। অভিনেত্রী না হলে তিনি নাকি ট্র্যাভেল শো-এর সঞ্চালক হতেন বলেও আয়েশা দাবি করেন ।
পশুপ্রেমী আয়েশা ‘পেটা’-র সদস্য। বহু দিন ধরেই তিনি ভেগান। তবে রান্না করতে ভালবাসেন না মোটেও।
আয়েশার জন্ম ১৯৮৬ সালের ১০ এপ্রিল। তাঁর বাবা নিশীথ গুজরাতের বাসিন্দা ছিলেন। মা, ফার্দিয়া ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত।