The news is by your side.

পিরোজপুরে নানাবাড়িতে পরীমনি,  এত ভালোবাসা কোথায় পাব?

0 109

 

২৪ মার্চ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে যান পরীমনি। এই গ্রামেরই নানাবাড়িতে জন্মেছিলেন তিনি। আগে অনেকবার গেলেও এবারের যাত্রাটা তাঁর জন্য, গ্রামের মানুষের জন্য ছিল অন্য রকম।

এবারের ভ্রমণে প্রথমবার পরীর সঙ্গী স্বামী শরীফুল রাজ ও সন্তান রাজ্য। ছবিতে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক পরীমনির সফর।

এসএসসি পরীক্ষার পরপরই গ্রাম ছাড়েন পরীমনি। অভিনয়ে আসার পরও প্রতিবছর কিছুদিনের জন্য গ্রামে ফিরেছেন। কিন্তু গত চার বছর গ্রামে যেতে পারেননি। হাসতে হাসতে পরীমনি বলেন, ‘আগে দুইবার খবর পাঠিয়েও যেতে পারিনি। বড় ব্যাপার ছিল, কোভিড। তা ছাড়া নিজের জীবনে কিছু ঝড়ঝাপটা গেছে। বিয়ে, বাচ্চা হওয়ারও একটা ব্যাপার ছিল। এবার তাই না বলেই রওনা হয়েছিলাম’

গ্রামের আকাশ সীমানায় হেলিকপ্টার দেখেই দূরদূরান্ত থেকে পরিচিত, অপরিচিত লোকজন ছুটে আসেন। পরী বললেন, ‘সঙ্গে রাজ ও রাজ্য ছিল, এ কারণে মানুষের একটা বাড়তি আগ্রহ ছিল। যখন নামলাম, সবাই ঘিরে ধরেছে। যে মাঠে নেমেছিলাম, ছোটবেলায় জায়গাটা ছিল জলাশয়। এখন মাটি ভরাট করে মাঠ হয়েছে। নামার পর মানুষের ভিড়ে এগোতেই পারছিলাম না। মানুষের এত ভালোবাসা, বাড়ি পৌঁছানোর পর দল বেঁধে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আমাকে ও আমার সন্তানকে দেখতে আসছেন’

ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন পরীমনি। গ্রামে গেলে স্কুলজীবনের বন্ধুদের মনে পড়ে। তবে তাঁর বড় খালার মেয়ে স্বর্ণা ছাড়া ক্লাসের অন্য বন্ধুদের সঙ্গে আর দেখা হয় না। কেউ বিদেশে, কেউ চাকরি নিয়ে ব্যস্ত। কেউ বিয়ে করে গ্রাম ছেড়েছেন। তাঁদের কথা বলতে বলতে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পরী

দুই সপ্তাহ হলো গ্রামে আছেন পরীমনি। কেমন কাটছে গ্রামের দিন? পরীমনি বলেন, ‘আমাকে, রাজ্যকে দেখার জন্য কত মানুষ আসছেন! দোয়া করছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন, আমাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন; খুব উপভোগ করছি। এত ভালোবাসা কোথায় পাব?’

Leave A Reply

Your email address will not be published.