The news is by your side.

১০ই এপ্রিল, “প্রজাতন্ত্র দিবস” ঘোষণা করতে হবে

0 100

 

সোহেল তাজ

আমার প্রতিবাদ কর্মসূচি:

আগামী ১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্নে) আমি অবস্থান নিবো I

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে (মানিক মিয়া এভিনিউ) বিকাল ৩:৩০ টায় গণভবনের উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করবো I

আমার দাবি:

১. যেহেতু ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে তাই এই দিনটিকে “প্রজাতন্ত্র দিবস” ঘোষণা করতে হবে I

২. ৩রা নভেম্বর “জেল হত্যা দিবস” কে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করতে হবে।

৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম , অবদান ও জীবনীসহ  মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি এই কর্মসূচিতে যোগ দেবার জন্য- এই পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানান I

বিঃ দ্রষ্টব্যঃ

১০ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্য্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ দিনই শুধু নয় এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে একটি মোড় ঘুরানো দিন কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার I

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর তাজউদ্দীন আহমদ তৎকালীণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার পদাধিকার বলে অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) নিয়ে কঠিন বাধা এবং রাজনীতির চরম দু:সময়ের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার গঠন করেন।

ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা একমত যে এই সরকার গঠনের মাধ্যমেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত স্বাধীনতায় রূপ নেয় I অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম পৃথিবীর অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মত ব্যার্থ হয়ে যেত I

আমার কাছে আশ্চর্য লাগে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলো কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম এই গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছুই জানে না- এটা মেনে নেওয়া যায় না আর তাই আমি আমার ৩ দফা দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ভাবে এই দাবি গুলি কার্যকর করা না হয় I

Leave A Reply

Your email address will not be published.