নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ কমিটিতে নওগাঁ জেলা জজ বা সমমানের অন্য কোনো বিচারক ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের তদন্ত করার সময় সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ভুক্তভোগীর পক্ষে শুনানি করেন মনোজ কুমার ভৌমিক। পরে আদালত থেকে বেরিয় মনোজ কুমার ও অ্যাটর্নি জেনারেল পৃথক ব্রিফ করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ঘটনায় আদালত একটি রুল দিয়েছেন। রুলে আদালত বলেছেন র্যাব জেসমিনকে যেভাবে তুলে নিয়েছে তা আইনত বৈধ ছিল কিনা। তদন্তের সময়ে অভিযুক্ত র্যাব সদস্যদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে জেসমিনকে আটক করে র্যাব।
জেসমিনকে আটকের চার ঘণ্টা পর অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।
র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, প্রতারণার অভিযোগে ৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।