The news is by your side.

দৌলতদিয়ায়  প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ট্রান্সজেন্ডার ৭ জন

0 116

ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে মর্যাদা ছিল না। রাস্তাঘাটে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের পাশাপাশি নানা কটূবাক্য ছুড়ে দিতেন লোকজন। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে সমাজের অবহেলিত এক জনগোষ্ঠীর এভাবেই দিন কেটেছে।

ট্রান্সজেন্ডার এসব মানুষের মর্যাদা ফিরেছে, আশ্রয়ও মিলেছে। শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া পুনর্বাসনের নানা পদক্ষেপে এখন বদলে গেছে তাদের জীবনযাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় সাত ট্রান্সজেন্ডারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের সাতটি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন সাত জনের হাতে এ ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছে ট্রান্সজেন্ডার মানুষেরা।

ঘর পাওয়া সাত জন হলেন- ট্রান্সজেন্ডারদের সভানেত্রী মিলন (মাহিয়া মাহি), রোকেয়া আক্তার, অন্তরা খাতুন, রনি চৌধুরী, নিলিমা, রোকেয়া ও আকাশ মন্ডল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাইদ মন্ডল জানান, ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের জন্য নির্মাণ করা প্রায় ৪০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি বারান্দা, একটি টয়লেট ও একটি রান্নাঘর। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডলের পাড়া এলাকায় ২০ শতাংশ জায়গায় উপর নির্মাণ করা হয়েছে এ সাতটি ঘর।

ঘর পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সজেন্ডার চায়না নামে একজন বলেন, ‘আমাদের নিজের পরিবারের কাছে জায়গা নেই, সেখানে আমাদের পাশে সরকার দাঁড়াবে এটি কল্পনাতেও ভাবিনি। আমাদের নিজস্ব বাড়ি হয়েছে, জমি হয়েছে। ঘর পাবার আগে আমাদের জীবন ছিলো, কোনও আনন্দও ছিল না। মা-বাবা, ভাই-বোন থেকেও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আমরা ঠিকানা পেয়েছি।’

ট্রান্সজেন্ডারদের দলনেত্রী মাহিয়া মাহি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখে চলেছেন। আমাদের এ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন, যা সরকারের একটা মহৎ উদ্যোগ। কারণ ট্রান্সজেন্ডার মানুষগুলো বাড়ি থেকেই বিতাড়িত হন। পরিবারগুলো তাদের তাড়িয়ে দিতে পারলেই যেন বেঁচে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতদিন ১৮/২০ জন অসহায়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে বাস করতাম। নানা লোকে নানা কথা বলত। ঘরভাড়া দিতে চাইত না। সামাজিকভাবে কেউ মেনে নিতে চাইত না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেই কষ্টের জীবন হতে মুক্তি দিয়েছেন। সামাজিক পরিবেশে নিজেদের ঘরে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর আগে আমরা ভোটার হয়েছি। আমরা তার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা সমাজের সবার সঙ্গে অন্যদের মতো মিলেমিশে থাকতে চাই। এর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।’

উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহমান মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সালু, দৌলতদিয়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চম্পা আক্তারসহ স্হানীয়রা।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.