ক্রেমলিনে পৌঁছার পর বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসির প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হাস্যোজ্জল চেহারায় শি জিনপিং এর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন পুতিন।
এ সময় পুতিনকে বলতে শোনা যায়, প্রিয় বন্ধু, তোমাকে রাশিয়ায় স্বাগত। খবর বিবিসির।
সাক্ষাতে করমর্দনের পর পুতিন সিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রিয় চেয়ারম্যান, প্রিয় বন্ধু, আপনাকে রাশিয়ায় স্বাগত। মস্কোয় স্বাগত।’ এরপর তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চীনের শান্তি প্রস্তাব পড়ে দেখেছেন তিনি।
সাক্ষাতে পুতিনকে সি বলেন, ‘আপনার শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ। বিগত বছরগুলোতে রাশিয়ার সমৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার মানুষ আপনার ভালো উদ্যোগগুলোকে জোর সমর্থন দেবে—এটা আমি নিশ্চিত।’ ২০২৪ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার জনগণ আবার পুতিনকে নির্বাচিত করবে বলে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন সি চিন পিং।
সোমবার পুতিনের সঙ্গে রাতের খাবার খান শি জিনপিং, আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা না হলেও এ সময় তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে দুয়েকটি কথা হয় ।
রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনের বরাত দিয়ে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে তার।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেসসচিব ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
ক্রেমলিন কার্যালয়ে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ বলেন, ঘুরেফিরে যেভাবেই হোক ইউক্রেন প্রসঙ্গে তাদের (বেইজিংয়ের) উত্থাপিত বিষয়গুলো আলোচনায় চলেই আসবে; আর রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান বিস্তারিত তুলে ধরবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সম্প্রতি টানা তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। তারপর এটাই রাশিয়ায় প্রথম সফর তার।
গত মাসে ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানে লিখিতভাবে ১২টি দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে বেইজিং।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে সেই প্রস্তাবনা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবেন জিনপিং।