শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা নিয়ে গাড়ি কিনে, পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপি সংসদ সদস্য ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন। দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
আশিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। হারুন অর রশিদ ছাড়া বাকিরা পলাতক।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার পর হারুন উর রশিদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।
এ সময় ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের মামলায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয় ২০০৭ সালে। দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং কাস্টমস অ্যাক্ট এর ১৫৬ ধারায় হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী সাদেককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
হারুন অর রশিদ চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যে ৭ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হারুন তাদের অন্যতম। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে আছেন। জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন হারুন।