ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইস্পাহানের একটি সামরিক স্থাপনায় গত সপ্তাহে ড্রোন হামলা হয়। ঘটনার দিন ‘বিশাল বিস্ফোরণ’ একটি ‘অসফল’ ড্রোন হামলার কারণে হয় বলে দাবি করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে ইরানের সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্যাটেলাইটের চিত্র বিশ্লেষণ করে বলেছে, গত ২৮ জানুয়ারি হওয়া হামলায় কী পরিমাণ প্রভাব ফেলেছে মেঘলা আবহাওয়ার কারণে সেটা স্যাটেলাইটে ধরা পড়েনি।
ঘটনার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দোষারোপ করলেও স্থাপনায় কী ধরনের অস্ত্র তৈরি করা হয়, তা নিয়ে কোনো ব্যাখা দেয়নি।
ড্রোন হামলার ঘটনার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রের ফায়ারিংয়ের শব্দ পাওয়া যায়। সম্ভবত ড্রোনগুলো টার্গেট করা হয়।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, একটি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় আঘাত হানে, অপর দুটি প্রতিরক্ষা ফাঁদে আটকা পড়ে ও বিস্ফোরিত হয়। সৌভাগ্যবশত, ‘অসফল’ এই হামলায় কারও প্রাণহানি হয়নি এবং এটি ওয়ার্কশপের ছাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে বলা হয়, হামলা উল্লেখযোগ্য সফল হয়েছে। ইসরায়েল এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই হামলা চালিয়েছে।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, ইরানের সামরিক কারখানায় এই হামলার অনেকগুলো কারণ হতে পারে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো-ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান। আর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তেহরানের উত্তেজনা।