সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসছেন পরীমণি জানালেন, আমি রাজ্য ও রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম। এ ছাড়াও বললেন, শরিফুল রাজ এখন শুধু তার প্রাক্তন না, তার ছেলের বাবাও। সেকারণে রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছেন না তিনি।
ফেসবুকে এক বিবৃতিতে পরী মণি লিখেছেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়ালো।আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে পরী আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।’
হুশিয়ারি দিয়ে পরী আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারলো না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে…।’
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে পরী মণি এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরী আর কিছুই নেই।’
গেল বছর ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরী ও শরিফুল রাজ। গোপনে বিয়ের পর এ বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন পরী। গেল ১০ আগস্ট রাজ-পরীর কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান, নাম শাহেম মুহাম্মদ রাজ্য।