জহির রায়হান
বরিশাল প্রতিনিধি
“ডাকাত পড়েছে, ডাকাত পড়েছে। আপনারা সর্তক হউন” এমন মাইকিংয়ে আতঙ্কিত হয়েছে বরিশাল নগরীসহ আশপাশের উপজেলার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার দিনগত রাত ১ টা থেকে একযোগে এসব এলাকার মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ডাকাত আতঙ্কে গুজব ছড়ায়।
এতে পুরো নগরী ও আশপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন,পুলিশের নিয়মিত টহল জোরদার থাকলেও ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বরিশালের কোথাও ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বরিশাল সিটির ৭,১১,১৩,২০,২১, ২৩,২৪, ২৫ নম্বর সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকেই মসজিদের মাইক ব্যবহার এমন ডাকাত আতঙ্কের গুজব ছড়ানো হয়। শুধু তাই নয় বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া,উজিরপুর, গৌরনদী ও মেহেন্দীগঞ্জেও এমন ডাকাত আতঙ্কের গুজব রটে৷ এতে বস বয়সী মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা খুঁজেন।
নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে হঠাৎ শুনি মসজিদের মাইকি। এলাকায় ডাকাত পড়ছে ডাকাত পড়ছে। আপনারা সর্তক হউন। এমন মাইকিংয়ে আতঙ্কিত হয়ে ভয়ে কাঁপতে থাকি। গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে রাখি। বুধবার সকালে ডাকাত আতঙ্কে মসজিদ থেকে যে মাইকিং করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ গুজব বা মিথ্যে ঘটনা।
২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শেখ সাইদ আহমেদ মান্না জানান, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর শান্তির নগরীতে ডাকাত আতঙ্কের গুজব ছড়িয়ে অশান্ত করার পায়তারা করছেন কোন এক মহল৷ কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। আমরা সবাই সর্তক আছি। কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না৷ কারা গুজব ছড়িয়ে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান,মঙ্গলবার দিনগত রাতে বরিশাল নগরীতে ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি৷ আর এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে মসজিদের মাইকে ডাকাত আতঙ্কে মাইকিং করা হয়। তাই অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আমরাও সাথে সাথে সর্বত্র পুলিশের টহল জোরদার করি। গুজব ছড়িয়ে ডাকাত আতঙ্কের বিষয়টি নজরে নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।