রেকর্ড আর লিওনেল মেসি যেন সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। মেসি মাঠে নামা মানেই যেন রেকর্ডের ফুলঝুরি ছোটানো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নেমেও রেকর্ডের মালায় আরেকটি ফুল পরালেন মেসি।
বিশ্বকাপের নক-আউটে মাঠে নেমেই মেসি ছুঁয়ে ফেলেন পেশাদার ক্যারিয়ারের ১০০০তম ম্যাচের মাইলফলক। তবে শুধু খেলতে নেমে রেকর্ড গড়াতেই কি মেসি আটকে থাকবেন? মোটেই না। মাঠের পারফরম্যান্সেও রেকর্ড গড়ে ফেললেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত খেলে দলকে ২-১ গোলের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মেসি। যার সুবাদে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হয়েই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচসেরা হওয়ার তালিকায় পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে সবার উপরে উঠে গেছেন মেসি।
কাতার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি ছিলো আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের ১০০০তম ম্যাচ। হাজারতম ম্যাচ খেলা ক্লাবের সদস্য হওয়ার দিন নিজে গোল করেই দলকে এগিয়ে নেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার।
গোল এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মিলিয়ে ম্যাচশেষে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে মেসির হাতেই। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ম্যাচসেরা হলেন এলএম টেন। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে ম্যাচসেরার পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে মেসিই সর্বোচ্চবার জিতলেন এই পুরস্কার।
এর আগে রোনালদোর সঙ্গে সমান ৭ ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে যোথভাবে শীর্ষে ছিলেন মেসি। এবার নিজের অষ্টম ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে রোনালদোকে এককভাবে শীর্ষে উঠে গেলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।