কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে অবশেষে বসানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য । আগে থেকে বসানো ডলফিনের ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হবে। কক্সবাজারে কলাতলী ডলফিন চত্বর এখন থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বর নামকরণ হবে।
সামাজিক সংগঠন অপরাজেয় বাংলা ও কক্সবাজার পৌরসভার যৌথ অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। সহযোগিতায়- কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
শহরের কলাতলী এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের স্থান শনিবার দুপুরে পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, অপরাজেয় বাংলা’র সদস্য সচিব এইচ রহমান মিলু।
পরিদর্শনকালে এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘পর্যটন এলাকা হিসাবে কক্সবাজার শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের —ভাস্কর্য অবশ্যই প্রয়োজন। তার জন্য কলাতলী চত্বরটি উপযুক্ত স্থান।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন,‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে সবাই একমত।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মহোদয় যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবে কাজটি করা হবে। ম্যুরাল নির্মানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা দেওয়া হচ্ছে।’
অপরাজেয় বাংলা’র সদস্য সচিব এইচ রহমান মিলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ বার সফরে এসেছেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নির্দেশনায় আজকের সমুদ্রের সৈকতের মনমুগ্ধকর ঝাউবাগান। কিন্তু দেশ—বিদেশ থেকে আসা পর্যটকের এই শহরে বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য নেই। এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই কক্সবাজারের প্রবেশমুখ কলাতলীতে পরিত্যক্ত হাঙ্গর চত্তর সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ এইচ রহমান মিলু আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল—ভাস্কর্যটির নকশার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ম্যুরালের উচ্চতা হবে ২২ ফুট।
কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা গবেষণাগার সহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম কক্সবাজার সফর করে এবং সর্বশেষ সফর করেন ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারী।
তিনি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৯৭২—৭৩ অর্থবছরে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ১০০ একর ঝাউবাগান বনায়নের নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে তিনি অন্তত ১৩—১৪ বার কক্সবাজার সফর করেন।
শহর ছাড়াও ইনানী—সোনাদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর পদচারণ ছিল। কিন্তু দেশ—বিদেশ থেকে আসা পর্যটকের এই শহর কক্সবাজারে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম বলেন,‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান কক্সবাজার। এটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মতো কোন কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি উঠলেও সেটি কার্যকর করতে কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ল না। কক্সবাজারে যদি বঙ্গবন্ধুর একটি দৃষ্টি নন্দন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয় তাহলে পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।’