প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী।’
শুক্রবার যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও যাতে অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, এইট পাস দিয়ে, মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চললে উন্নয়ন হয় না। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারে ছিল বিএনপি। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বিএনপির সময়। আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম। কোভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। দেশের জনগণের উন্নয়নে এই টাকা ব্যবহার করছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।
আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হয়।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এরপর শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে ঢাকার বাইরে থেকেও প্রচুর নেতাকর্মী যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। সমাবেশে যোগ দিতে গভীর রাত থেকেই বাস, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেন।
সমাবেশ ঘিরে উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া, পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে।
জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া, উদ্যানের বিভিন্ন গেট ও ভেতরে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।