তিন বছর পর দেশে ফিরেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। দেশে ফেরার দিন থেকেই বেশ এক হইহই ব্যাপার মায়ানগরীতে। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কোথায় থাকছেন, নতুন কোনও কাজ হাতে নিয়ে মুম্বই ফিরলেন কি না, সব নিয়েই কৌতূহল তুঙ্গে। প্রথম দিন থেকেই তিনি অনবরত ঘুরেও যাচ্ছেন। দেশে এসেই তিনি তাঁর কেশসজ্জার নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন মুম্বইতে।
২০১৬ সাল থেকে প্রিয়ঙ্কা ইউনিসেফের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন। তাই ইউনিসেফ-এর বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অভিনেত্রী। সে কারণেই সোমবার লখনউতে ইউনিসেফ-এর অফিস পরিদর্শনে যান প্রিয়ঙ্কা। সেখানে যাওয়ার পরই বাধল গন্ডগোল।
ইউনিসেফ ও তাঁর সহযোগী সংস্থাগুলি উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও বৈষম্যে নিয়ে কাজ করছে। সেই কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, তার তদারকি করতে যান প্রিয়ঙ্কা। তাঁর মাঝেই এই অঘটন। প্রিয়ঙ্কার বিরোধিতা শুরু হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশে। প্রিয়ঙ্কা লখনউয়ের ১০৯০ চৌরাস্তায় ছিলেন। সেখানেই নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঢোকার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
তার পর সেখনাকার গোমতিনগর জুড়ে পোস্টার পড়ে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বিরুদ্ধে। যেখানে ‘বয়কট প্রিয়ঙ্কা’-সহ ‘তোমাকে এই শহরে স্বাগত জানানো হবে না’ জাতীয় নানা পোস্টার দেখা যায়।
যদিও সে সব বেশি পাত্তা দেননি ‘দেশি গার্ল’। লখনউ পরিদর্শনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাগ করেছেন অভিনেত্রী। আপাতত মুম্বইতে রয়েছেন তিনি।