বিজেপিকে ভোট দিলে ধর্ষণ করা হবে। বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় এমনই পোস্টার পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ওই পোস্টার দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের তরফে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা এলাকার কিষাণ মান্ডি চত্বরে বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখা যায়। ওই পোস্টারে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের নাম লেখা ছিল।
মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা এলাকার কিষাণ মান্ডি চত্বরে বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখা যায়। ওই পোস্টারে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের নাম লেখা ছিল।
অভিযোগ, ওই পোস্টারে লেখা ছিল যে ভোট দিতে গেলে শাস্তি দেওয়া হবে। এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। এমনকি, বিজেপির কোন কোন মহিলা কর্মী-সমর্থককে ধর্ষণ করা হবে, সেই তালিকাও ছিল ওই পোস্টারে।
স্বাভাবিকভাবেই ওই পোস্টার নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় ওই এলাকায়। বিজেপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেছে। তাদের দাবি, ভোটের আগে তৃণমূল এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এর জেরে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে।
বিজেপির তরফে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। হুমকি পোস্টারের খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশও যায়। জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুটমার্চ করানোর দাবি তুলেছে।
বিজেপির আশঙ্কা, ভোটের আগেই যখন এই অবস্থা, ভোটের পরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। তখন আক্রান্ত হতে পারেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। সেই কারণে ভোটের পরও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবি তুলেছে বিজেপি।
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি হীরালাল ঘোষ। তিনি এই ঘটনায় পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তার অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা প্রচারে আসার জন্যই এসব করছে। আর তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা বিধানসভা হুগলির আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওই আসনে আগামী ৬ই মে ভোট রয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে তপন রায়কে।
২০০৯ সালে আরামবাগের সাংসদ হয়েছিলেন সিপিএমের শক্তিমোহন মালিক। ২০১৪ সালে তাকে হারিয়েই জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অপরূপা পোদ্দার। এবারও শক্তিমোহন মালিককেই প্রার্থী করেছে বামেরা।