বিশ্বজুড়ে ব্রিটেনের দেওয়া আর্থিক সহায়তা আরও দুই বছরের জন্য বন্ধ রাখতে পারে যুক্তরাজ্য সরকার। টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আর অস্থিতিশীলতার মাঝে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া কনজারভেটিভ দলীয় ঋষি সুনাক এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য সরকার জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বৈদেশিক সহায়তায় ব্যয় করে। কিন্তু দুই বছর আগে দেশটির সরকার বৈদেশিক সহায়তা ব্যয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ কারোনা মহামারিতে সংকটে পড়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি।
এক বিবৃতিতে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, সামনে শরতকালীন বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও চ্যান্সেলর সব ধরনের ব্যয়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন।
করোনা মহামারি যখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সেই সময় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ঋষি সুনাক। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে বিদেশি ব্যয় মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাবে।
ব্রিটেনের চলমান অর্থনৈতিক সংকট প্রশমনে দেশটির সরকার যখন ব্যয় কমানো এবং কর হ্রাস বাতিল করছে তখন বিদেশি সহায়তা হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত বিবেচনার খবর এলো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউরোপজুড়ে যে জ্বালানির সংকট, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, তার ধাক্কা শীতে আরও প্রকট হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
সেই সময় ব্রিটেনে বাড়িঘর গরম রাখার জন্য ক্রমবর্ধমান ব্যয় অনেক পরিবারের জন্য বোঝা তৈরি করতে পারে বলেও দেশটির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন।