পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান রোববার (১৬ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ইতিহাস গড়েছেন। ইমরান খান সাতটি আসনের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছয়টি আসনেই জয় পেয়েছেন। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে বলা হয়েছে, পিটিআই এনএ-৩১ পেশাওয়ার, এনএ-২২ মার্দান, এনএ-২৪ চারসাদ্দা, এনএ-১০৮ ফয়সালাবাদ, করাচির এনএ-২৩৯ কোরাঙ্গি ও এনএ-১১৮ নানকানা সাহিব-২ এ জয়ী হয়েছেন ইমরান খান। এসব আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পরাজিত করেন তিনি।
পিটিআই চেয়ারম্যান নিজে এইবার এনএ-১৫৭ বাদে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মালির আসন বাদে বাকি ছয়টিতেই জয় পান। ওই আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) হাকিম বেলুচের কাছে হেরে যান ইমরান। আর মুলতানের আসনেও হেরে যায় ইমরানের দল। ওই আসনে পিটিআই-এর ভাই চেয়ারম্যানের মেয়ে বানু কোরেশিকে প্রার্থী করা হয়েছিল।
জিও নিউজ বলছে, পিপিপির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ইমরান খানের আগে একসঙ্গে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই সময় তিনি চারটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন, হেরে যান একটিতে।
গত এপ্রিলে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যান ইমরান খান। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এতে পিটিআই সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হয়ে যায় জাতীয় পরিষদের আসনগুলো। এর প্রেক্ষিতে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।