মিয়ানমারের একটি যাত্রীবাহী বিমানে বন্দুক হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে দেশটির সামরিক সরকার।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বরাত আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, এই হামলায় একজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বিমানের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটটি শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পূর্ব কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাউতে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সময় বিদ্রোহী বাহিনী বিমানটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিমানের কেবিনের মধ্য দিয়ে বুলেট চলে যাওয়ায় এক যাত্রী আহত হয়। বিমানটিতে ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন।
মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র মেজর-জেনারেল জাও মিন তুনের বরাত দিয়ে শনিবার (১ অক্টোবর) রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার নিউজ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ক্রুদের প্রচেষ্টায় বিমানটি লোইকাও বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। আহত যাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জাও মিন তুন বেসামরিক বিমান এবং যাত্রীদের উপর হামলাকে একটি সামরিক অপরাধ বলে অভিযোগ করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী এই ধরনের নৃশংস হামলাকারী অপরাধীদের বা গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।