The news is by your side.

চার রোহিঙ্গা হত্যা: হাশিমকে খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

0 203

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে চার রোহিঙ্গা মাঝিকে হত্যার কথা স্বীকার করে পিস্তল হাতে ভিডিও বার্তা দেওয়া সেই তরুণ মোহাম্মদ হাশিমকে খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভিডিও বার্তাটি প্রকাশের আগে থেকেই মোহাম্মদ হাশিম আরসার হেফাজতে রয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দা সংস্থার।

মোহাম্মদ হাশিম উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর আশ্রয়শিবিরের (ময়নারঘোনা) ব্লক-৩ পশ্চিম-এর মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে বলে ভিডিও বার্তা থেকে জানা যায়। বুধবার ওই তরুণের ভিডিও বার্তাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) সৈয়দ হারুণ অর রশীদ বলেন, ভিডিও বার্তাটি প্রচারের পর থেকে মোহাম্মদ হাশিমের সন্ধানে মাঠে নামে এপিবিএন।

আজ দুপুর পর্যন্ত হাশিমের খোঁজ মেলেনি। ভিডিওটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। হাশিমের বক্তব্য যে সঠিক, সেটা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন তাঁরা। ভিডিওতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

এপিবিএন, পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে ধাবিত করার জন্য তরুণ মোহাম্মদ হাশিমের হাতে পিস্তল দিয়ে চার মাঝি হত্যার ভিডিও বার্তাটি ধারণ করে প্রচার করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা)।

আশ্রয়শিবিরে ওই চার রোহিঙ্গা মাঝিকে হত্যা করেছিল আরসার সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় পৃথক হত্যা মামলাও হয়েছে। ভিডিও বার্তাটি প্রকাশের আগে থেকেই মোহাম্মদ হাশিম আরসার হেফাজতে।

এপিবিএন ও গোয়েন্দা সংস্থার দুজন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ হাশিমকে দিয়ে ভিডিও চিত্রটি ধারণ করেন আরসা নেতারা। প্রচারও করেন তাঁরা। আশ্রয়শিবিরে সম্প্রতি ১০-১২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সব কটিতে জড়িত আরসা। এখন ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য রোহিঙ্গা তরুণ হাশিমকে দিয়ে ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেছে, যাতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই তরুণের ভিডিও বার্তাটি গতকাল ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ‘মো. আবদুল্লাহ মো. আবদুল্লাহ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ওই আইডির কভার পেজে আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) লোগো রয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.