কলকাতা প্রতিনিধি
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার পর বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর প্রয়াস শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার সভায় ওই গ্রেনেড হামলা হয়।
রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ২০০৪ সালে ঢাকায় শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে স্মরণসভার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এ কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা চিহ্নিত। কিন্তু তাদের সঙ্গে আর কারা কারা ছিল? জানতে বাংলাদেশে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।’
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নতাসহ নাগরিক সুবিধার দিক থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যে দেশের আদর্শ সিটি কর্পোরেশন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে তুলনামূলক বিচারে কলকাতা পুরসভার চেয়ে রাজস্ব আয়সহ বিভিন্ন দিক থেকে রাজশাহী এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
রাজশাহীর সঙ্গে কলকাতার দীর্ঘদিনের নিবিড় যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী দিনে কলকাতা পুরসভার মডেল অনুসরণ করে রাজশাহীকে আধুনিক ও নাগরিক বান্ধবান্ধব সিটি কর্পোরেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এ নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রাজশাহি পুরসভার মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহির মেয়র বলেন, খুব শিগগিরই তিনি এ বিষয়ে কলকাতার মেয়রের কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসবেন। ‘সুযোগ হলে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করতে চাই।‘ সামনের বছর রাজশাহি পুরসভার নির্বাচন। সম্ভব হলে তার আগেই এ নিয়ে কাজ এগোতে চান তিনি। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা নিচ্ছে। তবে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পর অন্য সব বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশের সাংসদ আরোমা দত্ত, সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী। স্বাগত ভাষণ দেন প্রেস ক্লাব, কলকাতার সভাপতি স্নেহাশিস সুর। সমাপ্তি ভাষণ দেন সভার আয়োজক সংস্থা বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস। সভার শুরুতে রাজশাহির মেয়র প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শাহিন আখতার রেনি।