রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তিনি তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সততার সঙ্গে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন ও সাংবাদিকদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমার জন্য নেগেটিভ কিছু পাইনি। সংবাদকর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘হাওর এলাকার কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছি। কোনো সরকারের আমলেই ব্যক্তির জন্য কিছু চাইনি। প্রত্যেক রাজনীতিবিদ যদি এ রকম মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে।’
রাষ্ট্রপতি বক্তৃতাকালে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর অবসরের কথাও বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আর ৪২ দিন পর আমি জনতার মাঝে ফিরে যাব। আমার ভালো লাগছে যে আমি সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পেরেছি। সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘বরাবরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে আমি যখন ডেপুটি স্পিকার ছিলাম ও শেষে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার খুবই আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এটাই শেষ নৈশভোজ। আগামী ২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি দরবার হলের অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। তিনি আসার পর দরবার হল প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে। এ সময় রাষ্ট্রপতি ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ছবিও তোলেন। প্রটোকল ডিঙিয়েই রাষ্ট্রপতি জুনিয়র-সিনিয়র সব সাংবাদিকের কাছে গিয়ে হাত মেলান। বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের হাওর এলাকায় এবং ঢাকার নিকুঞ্জের নিজ বাসভবনে নিমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, কালবেলা সম্পাদক আবেদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুর রহমান খান বক্তব্য দেন।
- Design