The news is by your side.

২৮ দেশ নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হলো আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়া

0 144

ওসমান গনি,

কক্সবাজার অফিস

২৮টি দেশের অংশগ্রহণে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর) ২০২২। নৌবাহিনীর প্রথা অনুযায়ী ‘শীপ্স বেল’ বাজিয়ে বুধবার ইনানীতে ঐতিহাসিক এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নৌসদস্যদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াড্স কর্তৃক সমুদ্রে একটি বিশেষ মহড়া প্রদর্শিত হয়।

আয়োজনে ২৮টি দেশের নৌপ্রধান এবং বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ বিশ্বের ৭টি দেশের যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফ্ট এবং হেলিকপ্টার এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রণিত পররাষ্ট্রমূলনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোও সাথে বৈরিতা নয়’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এই নৌ মহড়ার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধুত্ব’।

সামুদ্রিক জাতি সত্ত্বার এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠান আয়োজনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সর্বোপরি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সকলের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে আইএফআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে দৃষ্টিনন্দন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতার স্মৃতি অবলম্বনে নির্মিত চিত্রপ্রদর্শনী ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ অবলোকন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অত্যাধুনিক কজওয়ে ও জেটি উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জেটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আগত বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর নৌবাহিনীর জাহাজ, উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত বোটের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ ফ্লিট রিভিউ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

বিদেশি অতিথিদের পাশাপাশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধান কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিদেশি নৌপ্রধান ও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা মেরিটাইম সেমিনার ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়ায় অংশগ্রহণকারী ২৮টি দেশ হলো, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মিশর, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, ওমান, প্যালেস্টাইন, সুদান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশের নৌবাহিনী প্রধান-উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

আইএফআর ২০২২ অনুষ্ঠান বিশ্বের বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়নের পথকে আরও সুগম করবে বলে আশা করছে আয়োজকরা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের অগ্রগতি জানালেন এফবিসিসিআই সভাপতি

 

 

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। গত সোমবার লন্ডনে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে শূন্য কার্বন নির্গমনের জন্য মান ও নিয়মকানুনের ভূমিকা নিয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এমন মত দেন। এফবিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের সর্বনিম্ন কার্বন নির্গমনকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৮৯ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন টন কমাতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, পরিবহন, শিল্প, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক, কৃষি, ইটভাটা ও জ্বালানি খাত থেকে ৯৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্গমন কমাবে। অবশিষ্ট ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কৃষি ও পশুসম্পদ, বনায়ন এবং নগরের কঠিন বর্জ্য থেকে কমানো হবে। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব মান বজায় রাখতে বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলো উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

জসিম উদ্দিন আরও জানান, কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে এবং জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ২৭তম সম্মেলনে অর্থায়নের ওপর বাংলাদেশ জোর দিয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সবুজায়ন ও বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নে বহুপক্ষীয় তহবিল গঠন ভালো বিকল্প হতে পারে।

ইস্ট অ্যান্ড কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্রোনেক মাসোজ্যাডারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউকে অ্যাক্রেডিটেশন সার্ভিসের চেয়ারম্যান লর্ড লিন্ডসে, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের সিইও সুজান টেইলর মার্টিন, ইনস্টিটিউট অব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের মহাপরিচালক মার্কো ফরজিওন, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু)-সহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.