মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ২০২২ হিসাব বছরের আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন।
গত বছর গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে। ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। ২০২১ সালে যা ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে কমে ৩৪ টাকা ২২ পয়সা হয়েছে।
২০২২ সালে ১৫ হাজার ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আয় করেছে কোম্পানি গ্রামীণফোন। আগের বছরের চেয়ে যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিম বিক্রির ওপরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে বছর শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯১ লাখ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাহ্যিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন নিজেদের পারফরম্যান্সে উন্নতি বজায় রেখেছে এবং ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বছর শেষ করেছে।
২০২২ সালের ২৯ জুন গ্রামীণের সিমকার্ড বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গ্রাহক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।