ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় বিচারিক আদালতের চার বছর আগে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদন এবং দণ্ডিতদের আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে হাই কোর্টে।
সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী বছরের শুরুর দিকে এই শুনানি শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তাদের প্রত্যাশা নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকবে হাই কোর্টে।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়।
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার রায় হয়। এতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
সোমবার শুনানি শুরুর পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার এজাহারের পর অভিযোগপত্রের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে অভিযোগপত্র পড়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিচারিক আদালতে রায়ের দেড় মাসের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথি হাই কোর্টে পাঠানো হয়।