সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ২০০ কোটির মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। ইতিমধ্যেই টচার্জশিটে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইডি। তবে এই মামলাতে সাময়িক স্বস্তি পেলেন নায়িকা। সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজিরা দেন অভিনেত্রী। নায়িকার আইনজীবী জানান যে, ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন জ্যাকলিন।
গত মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি যখন জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, তখন অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইডির তদন্ত পদ্ধতি ‘ভুয়ো’ এবং ‘অন্যের মদতপুষ্ট’ বলে পাল্টা অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য দিল্লির একটি আদালতে আপিল করেছিলেন তিনি। সেই জামিন মঞ্জুর হল সোমবার।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তোলাবাজি মামলায় নাম জড়ানোর পর ইডি তলব করেছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেককেই থানায় হাজিরা দিতে ডেকেছিল দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই ইডি অফিসাররা জানতে পারেন যে, জ্যাকলিনের নামে সাত কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করেছিল সুকেশ। সোমবার জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানান যে, ‘জ্যাকলিন অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। আজ কোর্টে তাঁর হাজিরা শুধুমাত্র একটা প্রক্রিয়া। হাজিরার আগামী তারিখ ২২ অক্টোবর।’
তোলাবাজির মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশের থেকে অভিনেত্রী ঠিক কী কী উপহার পেয়েছেন, কত টাকা পেয়েছেন, তা জানতেই জ্যাকলিনের স্টাইলিশ লিপাক্ষীকে জেরা করা হবে। লিপাক্ষী পুলিসের প্রশ্নে ঠিক কী উত্তর দেন তার উপর ভিত্তি করে পুনরায় জেরা করা হবে জ্যাকলিনকে।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার স্পেশ্যাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন যে, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভেবেছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।