The news is by your side.

১২ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা

0 116

 

ভারত-পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী সেলিব্রিটি দম্পতি মনে করা হতো সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিককে। প্রতি মুহূর্তে তাদের নিয়ে নানা কৌতূহল, জল্পনা-কল্পনা ডানাও মেলে। তবে সেসব কিছুই গুঞ্জন বলে শোনা গিয়েছিল এতদিন। এবার ঘরের ভেতরের খবর এলো বাইরে। জানা গেল, ডিভোর্সের পথ বেছে নিয়েছেন সেলিব্রিটি এ জুটি।

কিছুদিন আগে বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, পাক-ভারত তারকা জুটি বর্তমানে একসঙ্গে থাকেন না। তারা আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছেন। যদিও দুজনেই সন্তানের প্রতি সমান যত্নশীল। সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছানোর জন্য বলা হচ্ছে, শোয়েব মালিক নাকি ‘পরকীয়ায়’ জড়িয়েছেন। আর সে কারণে শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জার বিয়ে ভাঙছে— এমন খবর নিয়ে কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দুজনের কেউই। এর মধ্যেই নতুন খবর দিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। তিনি শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যও।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বন্ধু তাদের বলেছেন, ‘দুজনের বিয়েবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তারা আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন। এর বেশি এখন আর কিছুই বলতে পারব না।’

শোয়েবের অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সে কারণেই ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই গুঞ্জন আরও বেড়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সানিয়ার কিছু পোস্টের পর।

ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।’ ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, ‘যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।’

ইনস্টাগ্রামে সানিয়া মির্জা ও তার ছেলের অনেক ছবি দেখা যায়। শোয়েব মালিকের ছবি খুঁজতে অনেক নিচে স্ক্রোল করতে হয়। সানিয়া মির্জা ৪০ সপ্তাহ আগে শোয়েব মালিকের সাথে তার শেষ ছবি পোস্ট করেছিলেন।

শোয়েব মালিকের প্রথম স্ত্রীর নাম আয়েশা সিদ্দিকী। দুজনে ২০০২ সালে বিয়ে করেন। সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করার ৪ দিন আগে আয়েশাকে তালাক দেন শোয়েব মালিক। তখন আয়েশা সিদ্দিকীর বাবাও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। শোয়েব মালিককে বিয়ে করার আগে সানিয়া মির্জা তার ছোটবেলার বন্ধু সোহরাব মির্জার সাথেও বাগদান করেছিলেন। তবে এই বাগদানটি ছয় মাসের মধ্যে ভেঙে যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.