আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। ওই সমাবেশের আগে যাতে কোনো ধরনের পরিবহন ধর্মঘট না হয় সেজন্য শাজাহান খান এমপি ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ও পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট দেবেন না। কিন্তু তারপরও তারা তিন আগে থেকেই ঢাকায় হান্ডি, পাতিল ও মশার কয়েল নিয়ে আগে থেকেই অবস্থান নিবে। পরিবহন শ্রমিক নেতা যারা রয়েছেন, আপনারাও কোন পরিবহন ধর্মঘট ডাকবেন না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনার বাড়ি তো ঠাকুরগাওয়ে। সমাবেশ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সমাবেশ দেখে যান। কথায় কথায় বলেন আপনাদের সমাবেশে ঢল নেমেছে। কথায় কথায় তরঙ্গ নেমেছে। কিন্তু ঢল কাকে বলে, নদী আর সাগরের তরঙ্গ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুরে এসে দেখে যান। আপনারা সমাবেশের তিন দিন আগে থেকে হান্ডি, পাতিল, বিছানা, বালিশ নিয়ে নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের অংশ থাকে মশার কয়েল। হায়রে নাটক।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে খেলা হবে। এবার খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে । ১৫ ফেব্রুয়ারির মত নির্বাচন আর হবে না। সুষ্ঠু ভোট হবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। সে সময় একটা নিরপেক্ষ ভোট হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মারামারি করবেন না। আপনারা উস্কানি দিবেন না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কিন্তু মাঠ ছেড়ে দেয় নাই। আপনারা আমাদের উপর হামলা করবেন, আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব। এটা কি হয়?
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও শাজাহান খান।