The news is by your side.

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তাপসের দুঃখ প্রকাশ

0 600

 

সরস্বতী পূজার দিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

তিনি বলেছেন, আশা করি, সবাই নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমি বিশ্বাস করি, ৩০ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। আমরা ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকে কাজ আরম্ভ করবো এবং উন্নত ঢাকা গড়ে তুলবো।

বুধবার রাজধানীর কদমতলী-শ্যামপুর এলাকায় ষষ্ঠদিনের মত নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে এক পথসভায় ব্যারিস্টার তাপস এসব কথা বলেন। সরস্বতী পূজার জন্য নির্বাচন পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন গণসংযোগ করছি। আমি দুঃখিত, এ বিষয়টি কেন বা কীভাবে আগে থেকে নির্ধারণ করা হয়নি। আমি যেটা জেনেছি নির্বাচন কমিশন আলাপ করেছিল। কিন্তু পঞ্জিকা অনুযায়ী হয়তো একটু ভুল হয়ে গেছে। তাদের (হিন্দু ধর্মাবলম্বী) প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা রয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে, সেহেতু আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি, সবাই নির্বাচনে অংশ নেবেন।

এদিন শ্যামপুর থানাধীন দোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন ব্যারিস্টার তাপস। এরপর শ্যামপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। দিনভর শ্যামপুর ও কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায়ও প্রচারণা চালান আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী।

তাপস বলেন, এ নির্বাচনে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কিন্তু নেমে গেছেন। একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের আমেজ বজায় রেখেছেন। আশা করি, অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে।

ঢাকা সিটির উন্নয়নে নিজের রূপরেখা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর কাছ থেকে গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমরা পাঁচ ভাগে বিভক্ত করে যে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি, ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন এবং আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করে নিচ্ছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাপস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয়। আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও এগুলো মনিটরিং করছে। আমরা যখন যেটা জানতে পারছি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এলাকাভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা হয়তো জনগণের অসুবিদা হতে পারে। আমরা বিষয়গুলো আরও সচেতনতাভাবে দেখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানেই নির্দেশনা দিচ্ছি, সবাই যেন সুশৃঙ্খভাবে অংশগ্রহণ করে। সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়। সাধারণ মানুষ এবং নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমে গেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন পরিবেশ এখন বজায় রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ণ একটি নির্বাচন হবে।’

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.