আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির কার্যক্রম বাড়াবে সরকার। এ জন্য ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাইস ব্রান অয়েল কেনা হবে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার। অন্যদিকে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। রোজার আগেই এসব পণ্য সংগ্রহ করা হবে।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নতুন সরকারের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন লটে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ভোজ্যতেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৫৮ টাকা।
সভায় ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়, যা কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা। বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ২৮ কোটি ৮০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ লিটার ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৮৮ হাজার টন ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টন কেনা হয়েছে।