সারাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ তুলে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলে তারা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা বিভিন্ন হল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসে।
এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে-খুনি কেন বাহিরে’, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই- খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘অপরাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ স্লোগান দেন।
এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ছাত্র রাজনীতি নয়, প্রয়োজন রাজনৈতিক সচেতনতা। ক্যাডারভিত্তিক বাহিনী বানানো, নির্যাতন-নিপীড়ন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করেছি। ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকায়ই ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব হয়েছে। ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। পেশিশক্তির রাজনীতি, নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতি, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির পতনের সময় এসেছে।’
এরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা নিজেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।