শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন। ২০০৭ থেকে ২০২৩, ষোলো বছরে তারা জুটি বেঁধেছেন চারবার। প্রত্যেকবারই হয়েছেন সফল। তাদের রসায়ন পর্দায় শুধু ম্যাজিকই সৃষ্টি করেনি, সেই সঙ্গে বক্স অফিসেও করেছে বাজিমাত।
‘ওম শান্তি ওম’ দিয়ে প্রথমবার অনস্ক্রিন রসায়নে মাতেন তারা। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিলো দীপিকার। ফারাহ খান নির্মিত ছবিটি ওই সময়ে প্রথম দিনই আয় করেছিলো ৫ কোটি ৫৩ লাখ রুপি। সপ্তাহান্তে আয় ছিলো ২১ কোটি ৪৭ লাখ রুপি। যা ওই সময়ের জন্য সর্বোচ্চ উইকেন্ড কালেকশনের রেকর্ড।
ছয় বছর পর শাহরুখ ও দীপিকা ফের জুটি হন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এ। রোহিত শেঠি পরিচালিত ছবিতে মিনাম্মা চরিত্রে দীপিকার মিষ্টি-চঞ্চল অভিনয় এখনও গেঁথে আছে দর্শকের মনে। আর শাহরুখের রোম্যান্স-অ্যাকশন নিয়ে তো বাড়িয়ে বলা নিষ্প্রয়োজন। দ্বিতীয় প্রজেক্টেও সাফল্য পান এসআরকে-দীপু। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির প্রথম দিনের আয় ছিলো ৩৩ কোটি ১২ লাখ। যা ওই সময়ের সর্বোচ্চ ওপেনিং ডে কালেকশন ছিলো। সেই সঙ্গে বলিউডের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ডও ভেঙেছিলো ছবিটি।
২০১৪ সালে শাহরুখ-দীপিকা জুটি পর্দায় ফেরে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ দিয়ে। এবারও তাদের যুগলবন্দি ইতিহাস তৈরি করে। ফারাহ খান পরিচালিত এই ছবি মুক্তির প্রথম দিনই আয় করে ৪৪ কোটি ৯৭ লাখ রুপি। এটিও বলিউডের সেই সময়ের সর্বোচ্চ ওপেনিংয়ের রেকর্ড ছিলো। শুধু তাই নয়, প্রথম উইকেন্ডে ১০৮ কোটি ৮৬ লাখ রুপি আয় করে সর্বোচ্চ উইকেন্ডের নয়া রেকর্ড গড়ে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’।
নয় বছর পর এবার তারা হাজির ‘পাঠান’ নিয়ে। আগের তিনটি সিনেমা তো বটেই, বরং বলিউডের ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ডই যেন গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ছবিটি। প্রথম দিন বিশ্বব্যাপী ১০৬ কোটি রুপি আয় করে তাক লাগিয়েছে। দ্বিতীয় দিন সেই ঝড় আরও প্রবল হয়ে আয়ের পরিমাণ ১১৪ কোটি রুপি। ফলে দুই দিনেই ছবিটি আয় করেছে ২২০ কোটি রুপি। তৃতীয় দিনের মধ্যেই ছবিটি ৩০০ কোটির মেগাক্লাবে ঢুকে যাবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
যদিও ‘পাঠান’ অ্যাকশন ফিল্ম; কিন্তু প্রেম রসায়নে ঠিকই নজর কেড়েছেন শাহরুখ-দীপিকা। ‘বেশরম রঙ’ গানে কিংবা রোম্যান্টিক সংলাপে চেনা ম্যাজিক ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, শাহরুখ ও দীপিকা যখনই জুটি হয়েছেন, তখনই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বলিউডের অন্যতম সফল জুটিও যে তারা, তা বলার অবকাশ নেই।