রোববার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ রাষ্ট্রীয় অতিথিদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় বঙ্গভবনের লন। রাষ্ট্রপতি এবং তার পত্নী অনুষ্ঠানে যোগ দেবার পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর কিছুদিন পরই বঙ্গভবনের বাসিন্দা হতে যাওয়া মো. সাহাবুদ্দিন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
যোগ দেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক বর্তমান ও সাবেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সংস্কৃতিজনসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দিবসের কেক কাটেন এবং উপস্থিত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করবেন শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রন্টি দাস। তিনি দুটি গান করবেন এর মধ্যে একটি হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা, অন্যটি নজরুল সংগীত।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানটির শিরোনাম হচ্ছে ‘মুজিব বাংলাদেশ’। গানটির কথা লিখেছেন রন্টি দাস নিজেই। এর সুর করেছেন সাইদ রহমান। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন কল্যাণ।
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা দিবসের এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
৫১ সেকেন্ডের শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি। বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট দেশ।
মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি।