The news is by your side.

রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত : পুতিন

0 52

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায় তবে একে সংঘাতের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার কয়েকদিন আগেই এ ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। ধারণা করা হচ্ছে এবারও নির্বাচনে জিতবেন পুতিন। তিনি আগামী ছয় বছরের জন্য ফের নির্বাচিত হবেন।

পুতিন বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে কোনো ‘তাড়াহুড়ো’ নেই। তিনি ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তও দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন।

রাশিয়া প্রকৃত অর্থে পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিয়া-১ টিভি ও সংবাদ সংস্থা আরআইএকে পুতিন বলেন, ‘সামরিক-প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা অবশ্যই প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে যে যদি তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে বা ইউক্রেনে মার্কিন সেনা মোতায়েন করে তবে রাশিয়া এই পদক্ষেপকে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে। রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে ও কৌশলগত সংযমের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিশেষজ্ঞ রয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি না এখানে পরমাণু সংঘাত নিয়ে কোনো তাড়া আছে, তবে আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’

ইউরোপীয় নিরাপত্তার নতুন স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সীমানা নির্ধারণের অংশ হিসেবে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের পাশাপাশি পরমাণু সতর্কতা দিয়েছেন পুতিন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পুতিন ইউক্রেন নিয়ে গুরুতর আলোচনার জন্য প্রস্তুত নন।

১৯৬২ সালে কিউবান মিসাইল সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েই পশ্চিম-রাশিয়া সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। পুতিন বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছেন যে পশ্চিমারা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে তা হবে পরমাণু যুদ্ধের উসকানি।

পারমাণবিক যুদ্ধ

চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা কীভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে কিয়েভকে সমর্থন করবে তা নিয়েই সংগ্রাম করছে। ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। পশ্চিম ও ইউক্রেনের তুলনায় মস্কো অনেক দ্রুত পুনরুদ্ধার করছে।

কিয়েভ বলেছে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের জাতীয় পরিচয় রক্ষার যুদ্ধে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তারা। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে সেগুলো এখন রাশিয়ার।

ইউক্রেন যুদ্ধে যেন যুক্তরাষ্ট্র বড় আকারে জড়িয়ে না পড়ে এ জন্য একাধিক পরমাণু সতর্কতা পাঠিয়েছে রাশিয়া।

ওয়াশিংটন বলেছে, তারা রাশিয়ার পারমাণবিক ভঙ্গিতে কোন বড় পরিবর্তন দেখেনি কিন্তু পুতিনের সার্বজনীন পারমাণবিক সতর্কতা নিয়ে ওয়াশিংটনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

পুতিন বলেন, ‘(পারমাণবিক) এগুলো ব্যবহার করার জন্য অস্ত্র রয়েছে। আমাদের নিজস্ব নীতি আছে।’

শনিবার সিএনএন জানিয়েছে, জো বাইডেনের প্রশাসন ২০২২ সালে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিল যে রাশিয়া ইউক্রেনে কৌশলগত বা যুদ্ধক্ষেত্রের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। তবে পুতিন বলেছেন, তিনি কখনোই ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন অনুভব করেননি।

পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে সিরিয়াস আলোচনার জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। তবে আলোচনাগুলো বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। সাইকোট্রপিক ওষুধ ব্যবহারের পরে লোভের ওপর নয়।’

রয়টার্স গত মাসে জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের পরে যুদ্ধ স্থগিত করতে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এই সপ্তাহের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিলেন, পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনের জন্য যথাযথ সমর্থন না দেয় তবে কিয়েভ রাশিয়ার কাছে আরও বেশি অঞ্চল হারাবে যা চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে উত্সাহিত করবে।

সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিকে রাশিয়ায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নস বলেছেন, আলোচনার আগে ইউক্রেনের অবস্থান শক্তিশালী করা মার্কিন স্বার্থের মধ্যে ছিল।

পুতিন বলেছেন, ‘আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। তবে আমাদের নিশ্চয়তা দরকার। নিশ্চয়তা অবশ্যই এমন হওয়া উচিত যাতে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.