রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে বিবিসির এক স্বাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথের দেশ হিসেবে আমাদের কাছে রানির মূল্য অনেক। তিনি পুরো কমনওয়েলথের অভিভাবক ছিলেন।
রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ৭০ বছর ধরে সিংহাসনে ছিলেন। তিনি শুধু যুক্তরাজ্যের রানিই ছিলেন না, তিনি যে একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষও ছিলেন তা তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমি অনুভব করেছি’।
রানির বাংলাদেশে সফরের কথা স্বরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬১ সালে রানি যখন প্রথম পূর্ব পাকিস্তানে যান তখন আমি তরুণী ছিলাম। তিনি আমার বাবার অফিসে যান। তখন তাঁর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল। তিনি যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমরা জানালা দিয়ে তাঁকে দেখছিলাম’।
তিনি আরো বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার আবার দেখা হয় ৭ম কমনওয়েলথ সামিটে, তখনও আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। তাঁর সঙ্গে আমি মিটিং করেছি। এছাড়াও অলিম্পিক গেমসেও তিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন’।
রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানা ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে সঙ্গে নিয়ে রোববার সকালে তিনি সেখানে যান।
কফিনে শ্রদ্ধা জানাতে শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নসহ অনেক বিশ্বনেতা।
২ হাজার অতিথি, প্রায় ২০০টি দেশ ও অঞ্চলের সরকার প্রধানসহ ৫০০ বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ৪ হাজার সেবাকর্মী রানির শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে লন্ডনের হাজারো মানুষ রানিকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন।