The news is by your side.

রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতি তীব্র সংকটে

0 103

দেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরো বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।

এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সংকটে থাকা অর্থনীতি আরো সংকটে পড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থিক খাতগুলো ছাড়িয়ে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সংকট থেকে আরো সংকটে অর্থনীতিঅর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ে।

বৈশ্বিক ওই সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা থমকে যায়। ডলার সংকটে স্থবির হয়ে পড়ে শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি আমদানিসহ বৈদেশিক লেনদেন। এলএনজি ও গ্যাসের সংকটে অভ্যন্তরীণ শিল্প উৎপাদন কমতে থাকে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।

সর্বশেষ গাজায় ইসরায়েলি হামলা বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আরো অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। এই নাভিশ্বাস ওঠা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে অবরোধ-হরতাল, ভাঙচুর-আগুন অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

করোনা মহামারির সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে সরকার সংকট কাটিয়ে অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে সক্ষম হয়। কিন্তু এখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন করে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অর্থনীতিতে বড় আঘাত লাগলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে অর্থনীতি এমনিতে সংকটময় সময় পার করছে। টানা নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি একে আরো নাজুক অবস্থায় ফেলবে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সবার আগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এতে কম আয়ের মানুষ গভীর সংকট থেকে রেহাই পাবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ যতটা সম্ভব তৈরি করতে হবে। আবার এই সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। এমন অবস্থায় আমদানিমূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও কোনোটাই বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় মাসখানেক আগে শুরু হওয়া ইসরায়েলযুদ্ধ সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.