The news is by your side.

রণবীরের দুয়ারে পুলিস

নগ্ন ফটোশ্যুট নিয়ে হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলিউডের 'খিলজি'কে।

0 157

 

অনাবৃত শরীরে ফোটোশ্যুট ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংহকে ডেকে পাঠাল মুম্বই পুলিশ।

এক ফ্যাশন পত্রিকার জন্য নিরাবরণ হয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ফোটোশ্যুট করেছিলেন রণবীর। গত মাসে এমন একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল চর্চা। সাহসিকতা না অপরাধ, তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। রণবীরের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ২২ অগস্টের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিল মুম্বই পুলিশ।

রণবীরকে সেই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশবাহিনী যখন অভিনেতার খোঁজে আসে, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ অগস্ট ফিরে আসবেন রণবীর। তখন আবারও তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে যাবে পুলিশ।

মুম্বইবাসী বেদিকা চৌবে নামে একজন আইনজীবী রণবীরের এই নগ্ন ফটোশ্যুট নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চেম্বুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, ‘এধরনের ফটোশ্যুট মহিলাদের নারীত্বকে ছোট করেছেন এবং তাঁদের অনুভূতিকে আঘাত করেছেন রণবীর। ‘ শুধু তাই নয় মুম্বই-ভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO) রণবীরে বিরুদ্ধে চেম্বুর পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিল। মুম্বই পুলিস এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে রণবীরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায়, যেমন ২৯২ (অশ্লীল বই বিক্রি ইত্যাদি), ২৯৩ (তরুণদের কাছে অশ্লীল জিনিস বিক্রি), ৫০৯ (শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা কাজের মাধ্যমে নারীত্বকে অপমান করা) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

মার্কিন অভিনেতা বার্ট রেনল্ডসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ফটোশ্যুট করেছিলেন রণবীর সিং। শুরু হয় বিতর্ক। এক্ষেত্রে রণবীর পাশে পেয়েছেন আলিয়া ভাট, অর্জুন কাপুর, রাখি সাওয়ান্ত, পরিচালক রামগোপাল বর্মাকে। রণবীরের পাশে দাঁড়িয়ে বাঙালি অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী বলেছেন, ‘আমি একজন মহিলা। তবে এক্ষেত্রে কোথাও আমার নারীত্বকে ছোট করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। এমনকি, আমার অনুভূতিতে আঘাত লাগেনি।’

তবে এই ফটোশ্যুট নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী । তাঁর প্রশ্ন, ‘কোনও মেয়ে এমনটা করলে কি এভাবেই প্রশংসা হত?’গত শুক্রবার রণবীরের ফটোশ্যুট প্রসঙ্গে টুইটারে মিমি চক্রবর্তী লেখেন, ‘রণবীরের ফটোশ্যুট নিয়ে নেটদুনিয়ায় আগুন ধরেছে। কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই কমেন্ট বক্সে আগুনের ইমোজি দিচ্ছেন। আমি ভাবছি, একজন মেয়ে এমন ফটোশ্যুট করলে, তিনি কি ঠিক একই প্রশংসা কুড়োতেন! এতক্ষণে হয়ত সেই মেয়েটি বাড়ি ভাঙচুর করা হত, কিংবা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হত। তাঁকে নোংরা ভাষায় গালি দিতে কিংবা খুনের হুমকি দিতে অনেকেই ছাড়ত না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.