The news is by your side.

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

0 51

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে চালানো বিমান হামলায় রাফাহতে ১৪ জন এবং আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ছয়জন নিহত ও অনেকে আহত হন।

রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনা ও সৈন্যদের অনুমতি দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ফোনালাপের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুকে সাফ জানিয়ে দেন, রাফাহতে বড় ধরনের হামলা চালানো ‘গুরুতর ভুল’ হবে। পরে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাফাহ শহরে ইসরায়েলের আক্রমণের পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য ‘বিকল্প পদ্ধতি’ নিয়ে আলোচনার জন্য নেতানিয়াহুকে তার জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের একটি দলকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই শহরটিতে হামলা চালালেন নেতানিয়াহুর সেনারা।

এ বিষয়ে সোমবার হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, জো বাইডেন রাফাহতে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা নিয়ে খুবই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এমনিতেই চলমান হামলা গাজায় সৃষ্ট মানবিক সংকটকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তার মধ্যে গাজার শেষ নিরাপদ স্থান রাফাহ শহরে হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে ও ইসরায়েল ক্রমেই আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়বে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন বাইডেন। তখন থেকেই গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও বর্বতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এমনকি, বাইডেন এ পর্যন্ত দাবি করেছেন যে বর্তমানে গাজার নিরাপদ স্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহু ইসরায়েলেরই ক্ষতি করছেন।

শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহতে হামলার অনুমোদন দেয় দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই অনুমোদনের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি রাফাহতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালাতে চায়, তাহলে সেটির একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা আমাদের দেখাতে হবে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বলেছে, রাফাহতে হামলা চালালে তার পরিণতি খুব একটা ভালো হবে না। কারণ, ৮০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজা উপ্যতকার একমাত্র নিরাপদ স্থান এখন রাফাহ শহর। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.