The news is by your side.

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়

0 167

 

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। মৃদু থেকে মাঝারি শেষে আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। পুরো সপ্তাহজুড়ে এ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) তাপমাত্রার ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকাল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের এবং চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি আরও জানান, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।

চুয়াডাঙ্গায় এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই বলেও জানান পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন। তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা হাঁসফাঁস।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ডিগ্রি মাঠের কৃষল চুন্নু মিয়া বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.