The news is by your side.

মোদী-মন্তব্যে দোষী রাহুল, খারিজ হতে পারে পদ, আন্দোলনের প্রস্তুতি বিরোধীদের

0 117

‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু’বছর জেলের সাজাপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করতে চলেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে এই দাবি করা হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্য বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাম, জেডি(ইউ), ডিএমকের পাশাপাশি বৈঠকে ছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-ও।

বৈঠকের পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তাঁরা। সেখান থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করছেন খড়্গেরা। ১২টি বিরোধী দলের তরফে শুক্রবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয় লোকসভার অধিবেশন।

সুরাত জেলা আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা অবশ্য রাহুলকে ১০ হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত করার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেননি তিনি। এ ক্ষেত্রে ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদের পদ রক্ষার পথে অন্তরায় হচ্ছে, ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। ঘটনাচক্রে, এক দশক আগে ওই রায় কার্যকর করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন তিনিই। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গুজরাত আদালত দু’বছরের সাজা দেওয়ায় আইনি দৃষ্টিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার কথা।

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ-বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যাবে। আইন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেই হিসেবে রাহুলের সাংসদ পদ অবিলম্বে খারিজ হওয়ার কথা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আগে বলা ছিল, সাংসদ-বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হলে তাতে স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবেন। ২০১৩-য় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার বনাম লিলি টমাস মামলায় আইনের সেই ধারাটি নাকচ করে রায় দিয়েছিল, দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই সাংসদ পদ চলে যাবে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত লালু প্রসাদের সাংসদ পদ বাঁচাতে মনমোহন সিংহের সরকার অধ্যাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্টে দিয়ে পুরনো ব্যবস্থা বহাল রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রাহুল সেই অধ্যাদেশ ছিঁড়ে বাতিল কাগজের ঝুলিতে ফেলে দেওয়ার কথা বলার পর পিছু হটেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.