মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি এবং ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এরা সবাই জান্তাকে যুদ্ধ বিমানের জ্বালানি সরবরাহ এবং আমদানি ও মজুত করতে সাহায্য করে। যা ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের উপর অবিরাম বিমান হামলা ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম হয়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বে একটি অভ্যুত্থান ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে দেশটির বেসামরিক জনসংখ্যা ও সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চলছে। জান্তা সরকারবিরোধী ও প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে ওঠে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জনগণের ওপর নৃশংসতা ও সহিংসতা চালাচ্ছে। তারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। একটি বিমান হামলায় মধ্য বার্মার একটি গ্রামে একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তর কাচিন রাজ্যে একটি বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানান, মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা তাদের নিজেদের জনগণকে কষ্ট ও যন্ত্রণা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বার্মার জনগণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অটল। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নৃশংসতা ঘটাতে যেসব উপকরণ ব্যবহার করছে তা ঠেকাতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।