টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের সেরা জায়গাটা ওপেনিং–ই। আজ সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন মিঠুন। এবারের বিপিএলে তিনি ৩ নম্বরেই ব্যাটিং করেছেন মাত্র একবার। বেশির ভাগ ইনিংসেই চার কিংবা তারও পরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন। আজ এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো উদ্বোধন করতে নেমেই ফিফটির দেখা পেলেন। এবারের বিপিএলে এটিই তাঁর প্রথম ফিফটি। ৩৬ বল খেলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন মিঠুন। ২২ বলে ৩৭ রান করে মিঠুনকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন সৌম্য। দুজনের যুগলবন্দীতে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জিতে যায় নাসির হোসেনের দল।
মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় জয়, সর্বশেষ ৩ ম্যাচে দ্বিতীয়। অন্যদিকে বরিশালের তৃতীয় হার। এ জয়ে খাতা-কলমে সম্ভাবনা টিকে থাকল ঢাকার, প্লে-অফ নিশ্চিত করার অপেক্ষা বাড়ল আরেকটু।
সাকিব আল হাসানদের ফরচুন বরিশালের ১৫৬ রান তাড়ার প্রথম ১০ ওভারেই দারুণভাবে এগিয়ে যায় ঢাকা। ফর্মে থাকা ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন পরে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন নাসির, ঢাকা ১৮.৪ ওভারেই জিতে যায়। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাকিব ও সানজামুল ইসলাম।
বিপিএলের শুরু থেকে বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারের মূল শক্তি ছিল তাদের মিডল অর্ডার। কিন্তু সিলেট পর্বের দুটি ম্যাচে মিডল অর্ডার থেকে বড় রান পায়নি দলটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সাকিব-ইফতিখার আহমেদরা ব্যর্থ হলেও এনামুল হকের ফিফটিতে সহজেই জেতে বরিশাল। আজও ইনিংসের শুরুতে এনামুলই বরিশালের ব্যাটিং সামলে রাখেন।
কিন্তু ব্যর্থ হন সাকিব। মুক্তার আলীর বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আরিফুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচে থামে বরিশাল অধিনায়কের ইনিংস। ৪ বল খেলে ৫ রান করেন। মিডল অর্ডারের আরেক ভরসার নাম ইফতিখার ১০ বল খেলে করেন মাত্র ১০ রান। সাইফ হাসান, ইব্রাহিম জাদরানরাও বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি আজ।
ওপেনার এনামুলের ৩৫ বলে ৪২ রানের ইনিংসই বরিশালকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রেখেছিল। সৌম্য সরকারের বলে এনামুল যখন আউট হন, তখন বরিশালের রান ৫ উইকেটে ৯২। সেখান থেকে বরিশাল ১৫০–এর ওপরে যায় মাহমুদউল্লাহর সৌজন্যে। ২৭ বল খেলে তিনি ৩৯ রান করেন, যা এবারের বিপিএলে তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল মাহমুদউল্লাহর ইনিংসে।
তবে পরে মিঠুন ও সৌম্য নিশ্চিত করেন, মাহমুদউল্লাহদের অবদান যথেষ্ট হচ্ছে না বরিশালের জন্য।